প্রকাশিত: Thu, Jan 25, 2024 10:46 PM
আপডেট: Thu, Jun 26, 2025 6:15 PM

[১] ড. ইউনূসের কারণে বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সালেহ্ বিপ্লব: [২] ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ড. ইউনূসের পক্ষে বিদেশিদের বিবৃতি বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। ড. ইউনূস গত ১২ বছর ধরেই আলোচনায় রয়েছেন। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে উল্লেখযোগ পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে।

[৩] বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন। এর আগে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি ম্যাসদুপুই ও জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টার দেখা করেন মন্ত্রীর সঙ্গে। 

[৪] ড. হাছান জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে ফ্রান্স এবং জার্মানি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলরের অভিনন্দন বার্তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন দুই রাষ্ট্রদূত।

[৫] পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ফ্রান্স ও জার্মানি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। স্বাধীনতার পরপরই যে দেশগুলো আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছিল, এই দেশ দু'টি তাদের  অন্যতম। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার হচ্ছে জার্মানি। ফ্রান্সও আমাদের রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ওপরের দিকে। সম্পর্ক গভীর করতে আমাদের বিজনেস বাস্কেট বিস্তৃত করা নিয়ে আলোচনা করেছি।’ 

[৬] তিনি বলেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এয়ারবাস কেনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সফরে এটি আলোচনা হয়েছিল। আমাদের ইকোনোমি যখন পারমিট করবে তখন আমরা পারব।

[৭] ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সফরে বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ আমাদের একটা অগ্রাধিকার। বিশেষ করে, আবহাওয়া বার্তা পাঠানোর জন্য, নিরাপত্তা ইস্যুতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে সেপ্টেম্বরে এমওইউ হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের নির্বাচন ছিল। নিশ্চয়ই কাজটি দ্রুত এগুবে।

[৮] জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর আমাদের যুদ্ধশিশুদের নিয়েছিল জার্মানি। ফ্রান্সও কিছু নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতার কারণেই ওই শিশুদের জন্ম হয়েছিল। জার্মানি ওই সময় অনাথ হয়ে যাওয়া শিশুদেরকে ব্যাপক হারে নিয়েছিল। আমাদের অনেক মুক্তিযোদ্ধাও পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন। তাদের বেশিরভাগকেই চিকিৎসা দিয়েছিল জার্মানি। এ জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি।